Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
সাফিনা সাইলেজ
ছবি
ডাউনলোড

প্রেক্ষাপটঃ

ঘনবসতিপূর্ণ কৃষি নির্ভর উন্নয়নশীল এ দেশের মানুষের প্রধান পেশা কৃষি। এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কৃষির উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। বাংলাদেশের মোট জনসংখার প্রায় ৮০% গ্রামীন এলাকায় বসবাস করে এবং তাদের প্রধান জীবিকা কৃষি। বাংলাদেশ পরিসংখান ব্যুরোর তথ্য মতে, দেশের মোট ২.৮৭ কোটি খানার মধ্যে ১.৪৭ কোটি অর্থাৎ প্রায় ৫১.৩৩% খানা কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত। কৃষি বলতে শুধু ফসল উৎপাদনকে বুঝায় না এর সংগে অন্যান্য বিভাগ যেমন- প্রাণিসম্পদ ও মৎস্যসম্পদ বিভাগও ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। প্রাণিসম্পদ আজ নানা ভূমিকায় অধিষ্ঠিত একটি সমৃদ্ধ খাত। বিশেষ করে বাংলাদেশে জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি, পুষ্টি নিরাপত্তা, আত্মকর্মসংস্থান এবং দারিদ্র নিরসনে প্রাণিসম্পদের অবদান অতীব গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ একটি সম্ভনাময় ও লাভজনক শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে অত্র বিভাগে প্রতি বছর গবাদিপশু ও হাঁস মুরগির সংখা বেড়েই চলেছে অর্থাৎ দেশে শিল্পায়ন, নগরায়ন ইত্যাদি হলেও জনগণ পশুপালন থেকে বিচ্যুত হয়নি। সেই সাথে উপযুক্ত প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ প্রাণিসম্পদ খাত আজ কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ দারিদ্র বিমোচনের একটি অন্যতম প্রধান হাতিয়ারে পরিনত হয়েছে। দেশের বেকার জনগোষ্ঠী এবং নারীরা প্রাণিসম্পদ পালনে সম্পৃক্ত হয়ে আত্মকর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পেয়েছে, যা নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বাংলাদেশ সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ হিসেবে আত্মপ্রতিষ্ঠার যে প্রতিযোগিতায় নেমেছে এর গতিকে ক্রমান্বয়ে বেগবান করছে প্রাণিসম্পদের বাণিজ্যিক বিস্তরণ। 


জনাব শামীম হোসেন, গ্রামঃ রামগোপাল পুর, গৌরীপুর, ময়মমসিংহ । তিনি ২০২০  সালে ইঞ্জিনিয়ারিং   বিষয়ে ডিগ্রী পাশ করেন। কোথাও চাকুরী না পেয়ে  ৫ টি  গাভী দিয়ে শুরু করেন ডেইরী খামার। কিছুদিন ভাল চললেও দানাদার খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন তাকে লোকশান গুনতে হয়। তিনি খুবি চিন্তিত হয়ে পড়েন। উপায় না পেয়ে তিনি আমার কাছে পরামর্শ নিতে আসেন কিভাবে খাদ্য খরচ কমিয়ে লাভবান হওয়া যায় এবং খামারটি টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়। আমি তাকে দানাদার খাদ্যের ব্যবহার কমিয়ে কাচা ঘাস খাওয়ানোরপরামর্শ  দিই এবং নেপিয়ার ও জারা ঘাস চাষ পদ্ধতি ও হারভেস্ট সিস্টেম সম্পর্কে অবহিত করি। কাচা ঘাস খাওয়ানোর ফলে তার খামারে রোগ বালাই বিশেষ করে রিপিট ব্রিডিং, এন ইস্টাস কমে যায় এবং দুধ উঠপাদন বেড়ে যায়। এতে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সক্ষম হন। কিন্তু কয়েক মাস পর অতি বৃষ্টির ফলে তার সমস্ত ঘাসের জমি পানিতে  ডুবে যায় এবং ঘাস উঠপাদন ব্যহাত হয় ও তিনি খাদ্য নিয়ে আবারও সমস্যায় পড়েন। তাই আমি তাকে কাচা ঘাস সংরক্ষন পদ্ধতি বিশেষ করে সাইলেজ সম্পর্কে ধারনা- দেই।






সাইলেজ কি?

বায়ুশূন্য অবস্থায় সবুজ ঘাসকে ভবিষ্যতের জন্য প্রক্রিয়াজাত করে রাখার প্রক্রিয়াকে সাইলেজ বলা হয়।

সাইলেজ কেন করা প্রয়োজন?

বর্ষা মৌসুমে সবুজ ঘাসে ময়েশচ্যার বেশি থাকার কারনে শুকাতে সমস্যা হয়, আর শুকানো হলে পুষ্টিমান কমে যায়। তাই সারাবছর সঠিক পুষ্টিমান সমৃদ্ধ ঘাস গরুকে খাওয়াতে সাইলেজ হতে পারে উত্তম প্রক্রিয়া। কাঁচা ঘাসের তুলনায় এই প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করে রাখা ঘাসের গুনগত ও খাদ্যমান বেশি। সাইলেজ প্রক্রিয়ায় ঘাস ১২ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখা যায়।


কোন কোন ঘাস সাইলেজ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করা যায়?

বর্ষামৌসুমে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়; দেশীয় ঘাস যেমন দুর্বা, বাকসা, আরাইল, সেচি, দল ইত্যাদি গাছের পাতা যেমনঃ ধৈঞ্চা, ইপিল-ইপিল জমিতে চাষ করা উন্নত জাতের ঘাস যেমনঃ নেপিয়ার, পাকচং, জার্মান, ভূট্টা, সুদান, পারা, সরগম ইত্যাদি


কাচা ঘাস ও ভুট্টার সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি ঃ 

সাইলেজ তৈরিঃ

ধাপ-১ঃ ঘাস সংগ্রহ ফুল আসার আগে একই পরিপক্বতার ঘাসগুলো কেটে নিতে হবে। সবুজ ঘাসের মধ্যে সবচেয়ে ভালো সাইলেজ হয় ভুট্টার। কারন এই সাইলেজে কান্ড, পাতার সাথে ভুট্টাও থাকে যার ফলে দানাদার খাদ্যের চাহিদাও অনেকটায় পূরণ হয়। এজন্য আধা কাঁচা ভু্ট্টা থাকার সময় সংগ্রহ করা ভালো।

ধাপ-২ঃ ঘাস শুকিয়ে নেওয়া ঘাসগুলোকে একদিন রোদে শুকিয়ে নিতে হবে যেন ভেজাভাবটা না থাকে। নেপিয়ার ঘাস কাটার পর এতে Dry Matter(DM) থাকে ১৫-২০%। একদিন রোদে শুকানো হলে তা ৩০% এর কাছাকাছি হয়। যা সাইলেজ তৈরির জন্য উপযুক্ত। অন্যদিকে গাছের পাতা কিংবা আগাছা ৪ঘন্টা রোদে শুকিয়ে নিলেই ৩০% DM থাকে। ড্রাই ম্যাটার-৩০% আছে যেভাবে বুঝবেনঃ • কান্ডটি আর্দ্র কিন্তু ভেজা না। • হাতে নিয়ে চাপ দিলে আগের অবস্থানে যাবে না।

ধাপ-৩ঃ ঘাস ছোট ছোট টুকরো করে নেওয়া ১-৩ ইঞ্চি পরিমাণ করে কেটে নিতে হবে। বেশিপরিমাণে কাটার জন্য বাজারে মেশিন আছে যাকে ‘চপ কাটার’ বলে।

ধাপ-৪ঃ ফার্মেন্টেশন বা গাঁজন প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করার জন্য চিনি জাতীয় উপাদান যুক্ত করতে হবে। এজন্য লালিগুড় বা মোলাসেস ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া লাল চিনিও ব্যবহার করা যায়। (বিঃদ্রঃ ভুট্টা, জার্মান ঘাসে পর্যাপ্ত পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট থাকার কারনে মোলাসেস প্রয়োগ করার প্রয়োজন পড়ে না) প্রতি ১০০ কেজি ঘাসের জন্য ২-৩% বা ২-৩ কেজি মোলাসেস প্রয়োগ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মোলাসেসের সাথে একই পরিমাণ পানি যুক্ত করতে হবে।

ধাপ-৫ঃ এবার সংরক্ষণের জন্য সিলো বা পাত্র ঠিক করতে হবে। এজন্য প্লাস্টিক ব্যাগ বা বস্তা, ড্রাম ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া মাটিতে পুঁতেও সংরক্ষণ করা যায়।

প্লাস্টিক ব্যাগড্রামে সংরক্ষণঃ  

ব্যাগটি যেন কোনোরকম ছেঁড়া না হয়। প্রথমে মোলাসেস এবং পানি মিশ্রিত দ্রবণের অর্ধেক পরিমাণ ঘাসে প্রয়োগ করতে হবে। তারপর সেই ঘাস ব্যাগে কয়েকধাপে ভরতে হবে। এক ধাপ ভরার পর ভালোভাবে চাপ দিতে হবে যেন ঘাসগুলোর মাঝে ফাঁকা না থাকে, ফাঁকা থাকলে সেখানে বাতাস থেকে যাবে, যার ফলে সাইলেজ ভালো না হওয়ার ধরুন বেশিদিন ঠিক থাকবে না।

তারপর মোলাসেস মিশ্রিত পানি আবার খানিকটা প্রয়োগ করতে হবে।এভাবে কয়েকধাপে ব্যাগ কিংবা ড্রামে ভালোভাবে ভরে শক্তভাবে মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে যেন বাতাস প্রবেশ না করতে হবে।

মাটিতে পুঁতে সংরক্ষণঃ 

এ পদ্ধতিতে সংরক্ষণের জন্য উঁচু স্থান নির্বাচন করতে হবে। • প্রয়োজনীয় পরিমাণ গর্ত করে পলিথিন দিয়ে দিতে হবে।

কয়েকধাপে সমপরিমাণে মোলাসেস এবং পানি মিশ্রিত ঘাস বিছিয়ে দিয়ে আবার মোলাসেস মিশ্রিত পানি প্রয়োগ করতে হবে।

পা দিয়ে ভালোভাবে চাপ দিয়ে কম্পেক্ট করতে হবে। তারপর উপরে আবার পলিথিন দিয়ে শক্ত করে বেঁধে মাটি চাপা দিতে হবে।

উপরোক্ত পদ্ধতিতে  জনাব শামীম হোসেনকে সাইলেজ বানানো এবং সংরক্ষন করার নিয়ম হাতে কলমে শিখাই। জনাব শামীম সাইলেজ ব্যবহার করে খামার হতে ভাল ফল পেতে থাকেন। তাকে আরও পরামর্শ দিই যে মোটামোটি বড় আকারে একটি সাইলেজ প্লান্ট স্থাপন করতে যেন আশেপাশের খুদ্র ও মাঝারি খামারিরা যেন ন্যায্য মূল্যে সাইলেজ খাওয়াইয়ে খাদ্য খরচ কমিয়ে লাভবান হতে পারে। শুরু হয় তার সাইলেজ ব্যবসার পারম্ভিকতা।

প্রথমে সাইলেজ প্রস্তুতের জন্য একটি চপার মেশিন ও একটি ভেকুম মেশিন ক্রয় করেন এবং  তিনি ৫ একর নিজের জমির উপর আমার পরামর্শ মোতাবেক  ভুট্টার চাষ করেন। ভুট্টা মিল্কিং স্টেজে আসলে তাকে হারভেষ্ট করতে বলি এবং সাইলেজ প্রস্তুতির পদ্ধতি অনুযায়ী সাইলেজ তৈরি করাই। ভাল্ভাবে বস্তা জাত করার ২১ দিনের মধ্যে ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়া শেষ হলে গবাদি পশু খাওয়ার উপযোগী হয়। প্রথমবার তিনি ৫০ টন সাইলেজ বিক্রি করে ২ লক্ষ টাকা লাভ করেন। এভাবেই  তার যাত্রা শুরু এবং বর্তমানে তিনি ৫০০ একর জমিতে ভুট্টার চাষ করে সাইলেজ প্রস্তুত করছেন।  এবং প্রতি মাসে ৩৫০ টন সাইলেজ বিক্রি করে যাচ্ছেন। তার সাইলেজ প্লাণ্টে বর্তমানে ২১ জন লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং আশেপাশের এলাকা সহ সারা দেশের অনেক ডেইরী খামারীরা তার কাছ থেকে সাইলেজ ক্রয় করে দুধ ও মাংস উঠপাদন বৃদ্ধি তথা দেশের আমিষের  চাহিদা পুরণ করে যাচ্ছেন।

উদ্দেশ্য

মান সম্মত গোখাদ্য সরাবরাহের মাধ্যেম দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি করা

সাইলেজের সরাবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে দানাদার খাদ্য খরচ কমিয়ে খামারীর লাভ নিশ্চত করা

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দারিদ্র্যতা ও অপুষ্টি দূর করা।

কর্মসংস্থান এবং আয়ের সুযোগ সৃষ্টি ও গ্রামীণ অর্থনীতি তথা দেশের সার্বিক উন্নয়ন সাধন করা।

সম্পৃক্ততাঃ

গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির খামারের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য বাণিজ্যিক চাষাবাদের কৌশলগুলির সুবিধাবলী খাম্রীদের কাছে জনপ্রিয় করা এক জন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দায়িত্ব

কৃষি প্রযুক্তির পদ্ধতি এবং কৌশলগুলি কৃষকদের কাছে সহজীকরণের  মাধ্যমে  ক্রমবর্ধমান বাজারের চাহিদা মেটাতে উৎপাদনের দক্ষতা উন্নত করা এবং সঠিকভাবে গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির সাধারণ রোগের  রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা, পশুর প্রজনন, স্থানীয় কৃষকদের প্রভাবিত করে এমন ছোঁয়াচে রোগের প্রতিরোধের ব্যবস্থা ও চিকিৎসা করা এক জন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দায়িত্ব ।

তাই এক জন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার  উপরোক্ত কাজের মাধ্যমে প্রমানিত হয় যে  উদ্যোগটি আবেদনকারীর নিয়মিত কারযক্রমের সাথে সম্পৃক্ত ।

নিজস্ব ধারণাঃ

উদ্যোগটি নিজস্ব ধারণা থেকে সৃষ্টি । দীর্ঘ দিন মাঠ পর্যায়ে চাকুরীর অবিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায় যে অনেক উদ্যোগতা ডেইরী সেক্টরে বিনিয়োগ করে খাদ্য খরচ বেশী হওয়ায়  লাভ করতে পারেনা। তাই নিজে থেকেই উদ্যোগ গ্রহন করি খামমারীদের কিভাবে সহজ উপায়ে সাইলেজ তৈরি করে কাচাঘাসের চাহিদা পুরণ তথা দানাদার খাদ্যের খরচ কমানো যায়।  তাই শামীম সাহেবকে সাইলেজ বিষয়ে প্রশিক্ষন দিই এবং সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি হাতে কলমে শিখাই। যার ফলে তিনি সহজেই উদ্যোগটি গ্রহন করেন এবং প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে এগিয়ে আসেন।


মূল কার্যক্রম ঃ

  • জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদের মাধ্যমে জারা, নেপিয়ার ও ভুট্টা চাষ করা।
  • হারভেষ্টের সময় হলে হারভেষ্ট করা
  • চপার মেশিনের মাধ্যমে ঘাস ছোট ছোট করে কাটা
  • ডাবল লেয়ার পলিথিন প্যাকেটে ভরে প্রেশার মেশিনের মাধ্যমে বায়ু শুন্য করা
  • বস্তার মধ্যে ভরে ফারমেন্টশনের জন্য এক মাস রেখে দেয়া
  • বাজারজাত তথা খামারী পরযায়ে সরাবরাহ করা।

অনন্য বোউশিষ্টঃ

  • নিরাপদ ও মান সম্মত প্রানীজ আমিষ উৎপাদনে সহায়ক
  • অল্প বিনীয়োগেই বেশী আয় করা যায়
  • ভারী যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয় না
  • সুফল ভোগীর সংখ্যা বেশী
  • দুধ উৎপাদনে অভ্যন্তরীন চাহিদা পূরণে স্বাবলম্বীতা অর্জন সহায়ক
  • মাংস উৎপাদনে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে স্বাবলম্বীতা অর্জন সহায়ক

সামজিক উন্নয়নে প্রভাবঃ

  • প্রতিষ্ঠানটির ফলে ৩০ জন লোকের স্থায়ীভাবে কর্মসংস্থান হয়েছে।
  • আশে পাশের তথা বিভিন্ন এলাকার জমি লীজ দাতা ভুট্টা চাষে জমি লীজ দিয়ে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে।
  • ডেইরী ও বীফ ফেটনিং খামারীরা খাদ্য খরচ কমিয়ে লাভবান হচ্ছেন
  • এলাকায় প্রচুর ডেইরী খামার গড়ে উঠছে
  • সাধারণ ভোক্তাগন নিরাপদ দুধ ও মাংস পাচ্ছেন।

সম্প্রসারন যোগ্য হল কিভাবেঃ

টেক সই ঃ

বিপুল সম্ভাবনাময় প্রাণিসম্পদ খাতের সম্পৃক্ত অধিকাংশ খামারীই অসচেতনতা ও কারিগরি জ্ঞানের অভাবে ঘাস চাষের বহূবিধ সুফল সম্পর্কে অবগত নয় । তাই খামারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতন করে তুলতে হবে এবং কারিগরি জ্ঞান বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। উন্নত জাতের ঘাসের কাটিং বিতরণ করতে হবে এবং রোপন পদ্ধতি ও হারভেষট পদ্ধতির ব্যবহারিক প্রশিক্ষন প্রদান করতে হবে। গোখাদ্য সংরক্ষন তথা সাইলেজ প্রযুক্তি খামারীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং এর সুফল সম্পর্কে জানাতে হবে।